যশোর প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যশোরের ব্যবসায়ী নেতা মীর মোশাররফ হোসেন বাবুকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় এবং জ্বর না নামায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তিনি সেখানকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে গত ২০ জুন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার ফলে বাবুকে করোনা পজেটিভ বলে শনাক্ত করা হয়। ওইদিনই তিনি যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
মীর মোশাররফ হোসেন বাবু তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের কথা আজ বেলা একটার দিকে জানান।
তিনি বলেন, যশোরের যে হাসপাতালটিতে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, সেখানকার পরিবেশ মোটেই ভালো না। ডাক্তার দেখলেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্ট বেড়েছে, জ্বর কমেনি।
‘এই অবস্থায় শাহীন চাকলাদার ভাই (জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) ও রেন্টু চাকলাদার ভাই (যশোর পৌরসভার মেয়র) ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই আমাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। অ্যাম্বুলেন্সযোগে গিয়ে বেলা ১১টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’
তবে এই ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগ করেও শাহীন চাকলাদারের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ফোন রিসিভ করেননি।
গ্রিন ড্রিম লিমিটেডের (যশোর কেন্দ্রীয় বাসটারমিনাল এলাকার যে হাসপাতালটিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে) ম্যানেজার নুর আলম জানান, মীর মোশাররফ হোসেন বাবু ভর্তির একদিন পরেই এখান থেকে বাসায় চলে যান। তার অভিযোগ ছিল, বাথরুমে বেসিন নেই, খাট ঘুমানোর অনুপযুক্ত, কেবিন ছোট প্রভৃতি। এসব অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দেননি হাসপাতালটির এই কর্মকর্তা।
স্কয়ারের ডাক্তার ইতিমধ্যে তাকে দেখেছেন জানিয়ে বাবু বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে আমি আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজনসহ যশোরবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
ফোনে কথা বলার সময় তার শ্বাসকষ্ট স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল। তবে ডাক্তার বলেছেন, ‘ভালো হয়ে যাবেন’, বলেন বাবু।
মীর মোশাররফ হোসেন বাবু যশোর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। এছাড়া তিনি যশোর বড়বাজারের ইজারাদার, যশোর সিটি কেবলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও।
করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিলেন। যশোর বড়বাজারে ভিড় কমানোর জন্যও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ফি-আমানিল্লাহ্।।।