কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য কুমিল্লা অঞ্চলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকলম শ্রেণীপেশার জনগণের ঐক্যবদ্ধতায় কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবাায়ন হবে। কোনো ষড়যন্ত্রই আধুনিক টাউন হল নির্মাণ ঠেকাতে পারবে না । অতীতেও ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি, এখনও সফল হবে না। কুমিল্লাকে বিভাগ করার প্রসঙ্গে বলেন, আমি যখন বিভাগ নিয়ে আন্দোলন করেছি তখন বিভাগ চলে গেছে সিলেটে, চলে গেছে রংপুর এবং ময়মনসিংহে। এখন কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ময়নাতি-আয়নামতি নামে বিভাগ ঘোষণা চলবে না। কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণা না হলে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার বীরচন্দ্রনগর (টাউনহল) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এমপি বাহার আরো বলেন, কিছু কুচক্রী লোক দেশের বুদ্ধিজীবীদের ভুল বুঝিয়ে কুমিল্লায় আধুনিক টাউন হল নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। ১৯৩৩ সালের জরাজীর্ণ বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন ও পাঠাগার (টাউন হল) ২০৪১-এর উন্নত দেশের রূপকল্পে চলবে না। তাই কোনো বাধাই আধুনিক টাউন হল নির্মাণ ঠেকাতে পারবে না। গত বিশ বছরে কুমিল্লা মর্ডাণ স্কুলের ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে আফজল খান পরিবার। এর প্রমান আমার কাছে আছে।
যদি আমি তা প্রমান করতে না পারি জনসভা আয়োজন করে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবো। মতবিনিময় সভায় বিভাগ হওয়ার জন্য কুমিল্লার দুইজন মন্ত্রী ও বাকী এমপিদের নিয়ে বসলে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন সহজ হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বাহার বলেন, আপনি লোটাস কামালকে জিজ্ঞেস করেন তার বাড়ী কোথায় তিনি বলবেন লালমাই, আবদুল মতিন খসরুকে বলেন তার বাড়ী কোথায় তিনি বলবেন বুড়িচং। আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমার বাড়ী কোথায় আমি বলবো কুমিল্লা। আমি কুমিল্লাকে বুকে ধারণ করি। লোটাস কামাল মর্ডাণ স্কুলের ফাইল স্বাক্ষর না করে! অন্য জেলার তিনটা ফাইল স্বাক্ষর করেন। বিভাগের বিষয়ে লোটাস কামাল বলেন বিভাগ হবে। তবে ময়নামতি নামে হবে। কুমিল্লা রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের সময় আবদুল মতিন খসরুকে বলেছিলো এটার দরকার নেই। তাই তাদের দুজনের সাথে আমার মনের মিল নেই। তবে এ মুহূর্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সাথে আমার মনের মিল আছে। করোনাকালে সে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। আপনারা কুমিল্লাবাসী আমার পাশে থাকলে বিভাগ অবশ্যই হবে। কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে। দীর্ঘ বক্তৃতায় আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার আরো বলেন, কুমিল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, মহাসড়কের আদলে কুমিল্লা শহর থেকে বের হওয়ার একাধীক বাইপাস সড়ক করেছি, সকল স্কুল কলেজের উন্নয়ন করেছি, শহর ও গ্রামের সকল রাস্তাঘাট তৈরি করেছি। ফ্লাইওভার, স্থল বন্দর কুমিল্লায় হয়েছে। গোমতী নদীর উপর তিনটি ব্রীজ করেছি।
তিনি আরও বলেন কুমিল্লা এগুলেই এগুবে বাংলাদেশ। এমপি বাহার বলেন, সম্প্রতি নগরীর যুবলীগ নেতা জিল্লুর হত্যাকান্ড নিয়ে তিনি বলেন, এটি কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নয়, চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীক একটি ঘটনা। অথচ ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিক নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এঘটনায় প্রকৃত খুনিদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এমপি বাহার কুমিল্লার উন্নয়নে সকল সাংবাদিকদেরকে পাশে থাকার আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় প্রায় দুই শতাধীক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কুমিল্লা বিভাগ ও কুমিল্লা টাউন হল কুমিল্লা গণ মানুষের দাবি। এ গণ দাবির পক্ষে কুমিল্লা ৫৮ লক্ষ মানুষ রয়েছে। দুই-চার জন ষড়যন্ত্র করে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন ও কুমিল্লা টাউন হল নির্মান বন্ধ করা যাবে না। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, টাউন হলে সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।