নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোর ক্যান্টঃ সুপার মার্কেট পুরাতন খয়েরতলা বাজারের কেন্দ্রীয় বাজার মসজিদের সামনে ফার্নিচার পট্টি এলাকায় আগুন লেগে চারটি দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে দুইটি ফার্নিচার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে ওই এলাকার মোঃ আব্দুল হালিম (৬০) এর জনতা ফার্নিচার ও আনারুল ইসলাম (৪৮) মাষ্টার ফার্নিচার এর দুইটি ফার্নিচারের দোকানে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, পরবর্তীতে পাশের আরোও দুইটি দোকানে তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিমের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্থ জনতা ফার্নিচারের দোকান মালিক আব্দুল হালিম জানান, খয়েরতলা বাজারে গত বিশ বছর যাবৎ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতায় ফার্নিচারের ব্যাবসা করে আসছি। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে দোকন বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। পরে রাত ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দোকানে যাওয়ার আগেই ফার্নিচার গুলো সব কাঠের হওয়াতে আগুন দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
তাৎক্ষনিক খয়েরতলা বাজার ব্রিজ সংলগ্ন মুদি ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। ফার্নিচার গুলোর মধ্যে খাট, সোফা সেট, ড্রেসিং-ডায়নিং টেবিল, আলমারি, কেভিনেটসহ বেশিরভাগ সেগুন কাঠের তৈরী ছিলো।
অগ্নিকান্ডে দুই দোকানে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
এছাড়া পাশের রাজু বেডিং নামের একটি তুলার দোকান, কৃষি ঘর নামে একটি কৃটনাশক ঔষধ ও সারের দোকান এবং তৌহিদ ফার্নিচার নামে একটি ফার্নিচারের দোকানে আগুন লেগে যায় স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনীর এমপি, সেনাবাহিনীর সিকিউরিটি ব্রাঞ্চের, সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ডিপোর ফায়ার সার্ভিস এবং যশোর সদর ও ঝিকরগাছা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দোকানের মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়।
৫৫ ডিভিশনের অর্ডিন্যান্স কতৃক ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্ব রত কর্মকর্তা ফায়ার সুপার জিএম আব্দুর রাজ্জাক বলেন রাত ১১টার সময় সংবাদ পাওয়া মাত্রই সেনাবাহিনীর আট সদস্যের দক্ষ একটি টিম ঘটনা স্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না কিভাবে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তবে বৈদ্যতিক সর্ট সার্কিট থেকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাশিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সাবেক বাজার কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান সাগর ঘটনা স্থল পরিদর্শন শেষে বলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি, স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাকি দোকানগুলিতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
যশোর সদর ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আনারুল হক জানান, রাত ১১টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ৫৫ডিভিশনের আর্মি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাত ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষতি পরিমান তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এতে কোন হতা-হতের ঘটনা ঘটেনি।পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান ইসলাম নীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য জনতা এক্সপ্রেস সহ কয়েকটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও ক্যান্টঃ সুপার মার্কেটের দোকানদ্বার ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছেন চা দোকান্দার আনোয়ার, আসাদুজ্জামান শাওন, শাহারুল ইসলাম ফারদিন, সজিব, সুজন, জহুরুল, সাদ্দাম, আলমগীর, ফসিয়ার, সাইফুল, ওয়ারিচ, মহাসিন, জাহিদ, জসিম, মুহাম্মদ আলী ও আরো অনেকে।