ষ্টাফ রিপোটার, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বীজ ডিলারের কাছ থেকে আলু বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন কৃষকরা। নিম্নমানের এসব আলুবীজ রোপণ করে কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসির বীজ ডিলার খাবার আলু রিপ্যাক করে বীজ আলু বলে বিক্রি করায় তারা প্রতারিত হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারের বিএডিসির অনুমোদিত বীজ ডিলার একরামুল হকের কাছ থেকে আলুবীজ ২’শ বস্তা কিনে রোপণ করেছেন সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় ও দহবন্দ ইউনিয়নের বামনজল গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক।
কিন্তু প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে তেমন আলু গাছ গজায়নি এবং গজানো আলু গাছ ফেঁপে ও পাতা কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে। প্রতিরোধে বালাইনাশক ব্যবহার করেও প্রতিকার হচ্ছে না। এ বছর এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। কৃষকদের ভাষ্য খাবার আলু রিপ্যাক করে তাদের কাছে বিক্রি করেছে।
অধিকাংশ আলু চাষি ব্যাংক, এনজিও এমনকি উচ্চ সুদে দাদন নিয়ে আলু চাষ করে ডিলারের প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরুণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক শাহাদাৎ হোসেন সরদার বলেন, ‘ডিলার একরামুল হকের কাছ থেকে বিএডিসির আলু বীজ কিনে ৭ বিঘা জমিতে রোপণ করেছি। কিন্তু নিম্নমানের বীজ হওয়ায় গাছ গজানোর পর পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।’
একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আক্তারুজ্জামান ১২ বিঘা, উত্তর বামনজল গ্রামের মৃত ফরিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম ২ বিঘা, গোলাম আলীর ৭ বিঘা, নয়া মিয়ার ছেলে আব্দুল মতিনের ৭ বিঘাসহ কমপক্ষে ৫০ বিঘা জমির আলু খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএডিসির বীজ ডিলার একরামুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আলু বীজ রোপণের পর চারা গজানোর পরে শুকিয়ে যাওয়ার দায় আমার নয়। আমি যা পেয়েছি তাই বিক্রি করেছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।